সিরাজগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ ফারুক হোসেন মহোদয় এর তথ্য ও দিকনির্দেশনায় এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ একরামুল হোসাইন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসআই(নিঃ)/মোঃ নাজমুল হক, বিপিএম, জেলা গোয়েন্দা শাখা, সিরাজগঞ্জ সঙ্গীয় ডিবির অফিসার ও ফোর্সসহ সলঙ্গা থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে ২৫/০৪/২০২৫ তারিখ সময় রাত্রি ০৪.১৫ ঘটিকায় সলঙ্গা থানাধীন পাটধারী বাজার এলাকায় অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, সলঙ্গা থানাধীন হাটিকুমরুল ইউনিয়নের অর্ন্তগত কুমারগাতি গ্রামস্থ সমবায় ট্যাংক লরী ফিলিং ষ্টেশন এর সামনে ০২(দুই) গাড়ী ড্রাইভার হেলপারসহ কতিপয় ব্যক্তি নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল ও গাঁজা নিয়ে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ মাইক্রোবাস যোগে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে একই তারিখ রাত্রি ০৪.৩০ ঘটিকায় বর্নিত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের সহায়তায় ০২ (দুই)টি ট্রাক গাড়ীসহ মাদক কারবারি আসামী ১। মোঃ আলামিন শেখ (৩৮), পিতা- মোঃ আকবর আলী শেখ, সাং-মাদলা দক্ষিনপাড়া, ২। মোঃ হৃদয় (২৪), পিতা-মোঃ ফজল আলী, সাং-গঙ্গাপ্রসাদ, উভয় থানা-শাহজাদপুর, জেলা-সিরাজগঞ্জ, ৩। মোঃ হেলাল উদ্দিন (৩৩), পিতা-মোঃ ফজলুল হক ফজু, সাং-অনন্তপুর, থানা-ফুলবাড়ী, জেলা-কুড়িগ্রাম, ৪। মোঃ শরীফ (৩৫), পিতা- মৃত দিলবর প্রামানিক, সাং-মাদলা, থানা-শাহজাদপুর, জেলা- সিরাজগঞ্জ, ৫। মোঃ জাকির (১৯), পিতা-মোঃ খয়ের আীল, সাং-বড় শাকুয়া (সিকদারী বাজার), থানা-বাগমারা, জেলা-রাজশাহীগণদের আটক করেন। টাটা কোম্পানির ট্রাক গাড়ী যার রেজিঃ নম্বর ঢাকা মেট্রো ট-১৫-৪৫৬৪ তল্লাশীকালে ড্রাইভার ০১নং আসামী মোঃ আলামিন শেখ (৩৮) এর সিটের নিচে বিশেষ কায়দায় রক্ষিত ৭০ (সত্তর) বোতল ফেন্সিডিল এবং টাটা কোম্পানির অপর ট্রাক গাড়ী যার রেজিঃ নম্বর ঢাকা মেট্রো ট-২২-৫৭২৬ তল্লাশীকালে ড্রাইভার ০২নং আসামী মোঃ হৃদয় (২৪) এর সিটের নিচে বিশেষ কায়দায় নীল পলিথিনে রক্ষিত ০৫(পাঁচ) ও ড্রাইভার এর পাশে থাকা ০৩নং ধৃত আসামী মোঃ হেলাল উদ্দিন (৩৩) পায়ের নিচে বাজার করা সাদা প্লাষ্টিকের ব্যাগের ভিতর নীল পলিথিনে রক্ষিত ০৫(পাঁচ) কেজি গাঁজা (পলিথিন ব্যতিত) আসামীদের দেখানো ও নিজ হাতে বের করে দেওয়া মতে সর্বমোট (৫+৫)=১০ (দশ) কেজি গাঁজা উদ্ধারপূর্বক জব্দ তালিকামূলে জব্দ করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।